ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে আলুর কী সম্পর্ক জেনে নিতে পারেন। ১৭ জুন ২০২৫

ডায়াবেটিস ও ওজন বৃদ্ধির সঙ্গে আলুর কী সম্পর্ক জেনে নিতে পারেন।

ওজন বেড়ে গেলে বা ডায়াবেটিস ধরা পড়লে প্রথম যেটা বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়, তা হলো আলু।

তবে গবেষণা বলছে, আলু একেবারে বাদ না দিয়ে সঠিকভাবে খেলে তা শরীরের জন্য উপকারীও হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিদ্ধ বা কম তেলে রান্না করা আলু শরীরের পক্ষে মোটেও ক্ষতিকর নয়। বরং এতে থাকা নানা ধরনের পুষ্টিগুণ শরীরের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।

চলুন, জেনে নিই।
১০০ গ্রাম আলুতে থাকে- প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চিনি, ফাইবার, ফ্যাট। এ ছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ফোলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

আলুতে পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবে আপনি কীভাবে খাচ্ছেন, তার উপরই নির্ভর করে তা উপকারী হবে না ক্ষতিকর।

যদি সিদ্ধ করে বা কম তেলে রান্না করে পরিমাণমতো খান, তবে আলু ওজন বাড়াবে না।

কিন্তু যদি বেশি তেলে ভাজা, মসলা দেওয়া আলু খান, তবে তা ক্যালরি বাড়ায় ও ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়।

ডায়াবেটিস ও আলুর সম্পর্ক:
আলুতে উচ্চমাত্রায় কার্বোহাইড্রেট ও স্টার্চ থাকে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত বাড়িয়ে দেয়।

তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশি পরিমাণে ভাজা আলু খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। এতে শুধু সুগার বাড়ে না, ওজনও বাড়ে, যা অন্যান্য বিপাকীয় রোগের আশঙ্কা তৈরি করে।

কিভাবে খাবেন আলু:
১। সিদ্ধ করে খাওয়া ভালো, তবে পরিমাণে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।

২। ডিপ ফ্রাই বা অতিরিক্ত তেলে ভাজা আলু এড়িয়ে চলুন।

৩। খোসা ছাড়া খেলে শর্করার প্রভাব কিছুটা কমে যায়।

আলু বাদ না দিয়ে বরং সঠিক পদ্ধতিতে ও সীমিত পরিমাণে খেলে তা শরীরের ক্ষতি না করে উপকারই করতে পারে।

তবে যাদের ডায়াবেটিস বা ওজনজনিত সমস্যা আছে, তাদের জন্য সচেতনতা জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *