অর্থ : “আমি হাজির, হে আল্লাহ ! আমি হাজির, আমি হাজির, কোন শরীক নাই তোমার, আমি হাযির, নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামত তোমারই, আর সকল সাম্রাজ্যও তোমার, কোন শরীক নাই তোমার।”
যারা হজ অথবা ওমরাহ আদায় করার নিয়তে এহরাম বাঁধে তাদের ওপর এর সকল অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে।
আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : নিশ্চয়ই সবচেয়ে উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া (আল্লহভীতি)। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমারই তাকওয়া অবলম্বন করো’। [সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ১৯৭]
পবিত্র জিলহজ মাস চলছে—এটি সেই মাস, যেখানে মুসলমানদের পবিত্রতম ইবাদত হজ পালিত হয়। হজ শুধুমাত্র একটি শারীরিক বা আচারিক ইবাদত নয়; এটি আত্মার পবিত্রতা, ধৈর্য, আত্মত্যাগ ও ইসলামের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের অনন্য নিদর্শন।
এই মাসে লক্ষ লক্ষ মুসলমান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৌদি আরবের পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনায় সমবেত হন, এক কাতারে দাঁড়িয়ে তারা উচ্চারণ করেন—”লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”।
এই ধ্বনি প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে এক আত্মিক আন্দোলন, আহ্বান করে আমাদের সবার আত্মশুদ্ধির।
এই পবিত্র সময়ে আমরা যারা হজে যেতে পারিনি, তারাও যেন নিজেদের জীবনে হজের প্রকৃত শিক্ষা বাস্তবায়ন করি। সততা, ন্যায়পরায়ণতা, ক্ষমাশীলতা এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করি।
আসুন, এই হজের মাসে আমাদের ঘর, সমাজ ও দেশকে ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ইসলামী মূল্যবোধে আলোকিত করি।
দোয়া করি, আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে হজ করার তৌফিক দান করুন এবং যারা হজ পালন করছেন, তাদের হজ কবুল করে নেন। (আমিন)