হাড়ের ক্ষয় বা আর্থ্রাইটিস একটি মারাত্মক ও যন্ত্রণাদায়ক রোগ। যা সাধারণত বয়স ৩০ বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্বনা বাড়তে থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, সময়মতো সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা না হলে আর্থ্রাইটিস ধীরে ধীরে হাড় ও জয়েন্টের গভীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, যার ফলে স্বাভাবিক চলাফেরা ব্যাহত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাঁটু, আঙুল, কব্জি, গোড়ালি বা কাঁধে যদি ঘন ঘন ব্যথা হয় এবং বিশ্রামের পরেও তা না কমে, তবে তা আর্থ্রাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
অনেক সময় ব্যথার সঙ্গে জয়েন্ট ফুলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হলো—ঘুম থেকে ওঠার পর জয়েন্টে অস্বস্তি, টান বা শক্ত হয়ে যাওয়া। যদি এই অনুভূতি আধাঘণ্টারও বেশি স্থায়ী হয়, তবে তা জয়েন্টে প্রদাহের ইঙ্গিত দেয়।
একইসঙ্গে, রোগীরা প্রায়ই অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা ও অলসতা অনুভব করেন, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অতিরিক্ত সক্রিয়তার ফল হতে পারে।
হাঁটা, বসা কিংবা হাত-পায়ের নড়াচড়ায় জয়েন্টে শব্দ হলে, সেটিও একটি সতর্কতামূলক ইঙ্গিত হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এটি হাড় ক্ষয় এবং জয়েন্টে প্রাকৃতিক তরলের অভাবের লক্ষণ, যা অস্টিওআর্থ্রাইটিসের দিকে ইঙ্গিত করে।
এ ছাড়াও সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, মাটিতে বসা বা দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হলে সেটিও আর্থ্রাইটিসের লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
তবে আশার কথা হলো, আর্থ্রাইটিসকে সময়মতো শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে অনেকাংশে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।