বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হয়তো এটি শুধুই একটি সিদ্ধান্ত, হয়তো শুধুই একটি ঘোষণা।
কিন্তু এই ঘোষণার মধ্যে লুকিয়ে আছে এক অনন্ত আক্ষেপ, এক অসমাপ্ত স্বপ্ন। নির্ভরতার আরেক নাম ছিল শান্ত।
বাংলাদেশ যখন ধুঁকছিল, তিনি ছিলেন শান্ত। ব্যাট হাতে যেমন দায়িত্বশীল, নেতৃত্বেও তেমনি ছিলেন দৃঢ় ও পরিণত।
কিন্তু আজ, সেই শান্ত আর বাংলাদেশের টেস্ট দলের সামনে দাঁড়িয়ে নেই একজন নেতা হিসেবে।
শান্তর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। তিনি নিজের সম্মান নিজেই রক্ষা করলেন।
হয়তো কেউ তাকে সঠিকভাবে সম্মান দিতে পারেনি, হয়তো তাকে ধরে রাখার মতো সামর্থ্য দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শান্ত দেখালেন, আত্মসম্মান কাকে বলে।
একজন খেলোয়াড়ের সেরা অবদান আসে তখনই, যখন সে মানসিকভাবে সম্পূর্ণ মুক্ত।
অধিনায়কত্বের চাপমুক্ত শান্ত এখন যেন ব্যাটিং নিয়ে আরও মনোযোগী হন, আরও দৃঢ়তায় খেলেন, সেটিই প্রত্যাশা।
এই প্রজন্মের অন্যতম পরিণত ক্রিকেট মস্তিষ্ককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে রাখা নিঃসন্দেহে একটি ব্যর্থতা।
টেস্ট হোক, বা ওয়ানডে—শান্তর মত একজন ক্রিকেটারকে দলের নেতৃত্বে না রাখা মানে ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকাকে নিভিয়ে ফেলা।