স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আদার উপকারিতা জেনে নিই। জুন ২৪, ২০২৫

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আদার উপকারিতা জেনে নিই।

রান্নায় স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে আদার জুড়ি মেলা ভার। শুধু রান্নায় নয়, কাঁচা আদাও শরীরের নানা সমস্যা দূর করতে কার্যকর।

গলা ব্যথা হোক বা হজমের সমস্যা—আদা ও আদার রস উপশমে দারুণভাবে সাহায্য করে। তবে শুধু আদাই নয়, তার খোসাও হতে পারে সমান উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে সংক্রমণ রোধে এটি সহায়ক ভূমিকা নেয়।

চলুন, জেনে নিই।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী আদার খোসায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার। যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
অন্ত্র সুস্থ থাকলে হজম ভালো হয় এবং গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে। আদার খোসা অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে সাপোর্ট করে, ফলে খাওয়ার পর অস্বস্তি বা চোঁয়া ঢেকুরের মতো সমস্যা দূর হয়।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস কমায়
যারা অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তারা কয়েক দিন অল্প করে আদার খোসা খেয়ে দেখতে পারেন। অনেকেই এতে উপকার পেয়ে থাকেন।

কিভাবে খাবেন আদার খোসা?

১। ভালো করে ধুয়ে নিন
খোসা খাওয়ার আগে আদাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন, যাতে কোনো মাটি বা রাসায়নিক না থাকে।

২।রোদে শুকিয়ে নিন
খোসা ছাড়িয়ে তা রোদে শুকিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করুন। পরে তা গুঁড়ো করে চা, স্যুপ, স্মুদি বা লিকার-এ ব্যবহার করা যায়।

৩। অল্প পরিমাণেই খান
অতিরিক্ত পরিমাণে আদার খোসা খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই প্রতিদিন সামান্য পরিমাণেই খাওয়া নিরাপদ।

যাদের পেট সংবেদনশীল, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন যারা একটু কিছু খেলেই পেট খারাপের সমস্যায় পড়েন, তাদের আদার খোসা খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আদার মতোই তার খোসাও স্বাস্থ্যরক্ষায় ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এটি হজম, ইমিউনিটি ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যে আশ্চর্যজনক উপকার দিতে পারে।

তাই আর ফেলবেন না আদার খোসা—বরং ভাবুন কীভাবে স্বাস্থ্যবান্ধব উপায়ে কাজে লাগানো যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *