স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আচারের ভূমিকা অপরিসীম। ২৫ মে ২০২৫

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আচারের ভূমিকা অপরিসীম।

আচার বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। নানা রঙের, স্বাদের এই আচারের কেবল স্বাদই মন ভরে না, বরং এটি স্বাস্থ্যের জন্যও হয়ে উঠতে পারে দারুণ উপকারী।

বিশেষ করে ঘরে তৈরি আচার, যা প্রোবায়োটিক, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে তৈরি করা হয় নানা ধরণের আচার, যার মধ্যে আম, লেবু, জলপাই কিংবা রসুনের আচার বেশ জনপ্রিয়।

তবে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, বাজারের আচারের তুলনায় ঘরে বানানো আচার অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। কারণ এতে ক্ষতিকর তেল থাকে না। চলুন, জেনে নিই প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে ঘরে তৈরি আচার খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে : আচার প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।

এতে হজমশক্তি বাড়ে, অন্ত্রের প্রদাহ কমে এবং সামগ্রিক পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : সুস্থ অন্ত্রই শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধের মূল। আচারের প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।

হজমে সহায়ক : আচারে ব্যবহৃত সরিষা, মেথি বিভিন্ন মসলা আয়ুর্বেদে হজম সহায়ক হিসেবে ভালো কাজ করে। এগুলি পাচনতন্ত্র সক্রিয় করে, খাবার ভাঙতে সাহায্য করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে : ভিনেগারে তৈরি আচার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে পারে। ভিনেগারযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

মেজাজ ভালো রাখে : অন্ত্রের স্বাস্থ্য মানসিক অবস্থার সঙ্গেও জড়িত। প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণে সহায়তা করে, যা মেজাজ উন্নত করতে পারে এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

সুতরাং, প্রতিদিন এক চামচ আচার শুধু স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের নানা উপকারও করে। তবে সবকিছুতেই চাই পরিমিতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *