মুখে আলসার বা ঘা এক ধরনের ক্ষত, যা সাধারণত ব্যথাযুক্ত হয়ে থাকে। এই ঘা মুখের মাড়ি, ঠোঁট, জিহ্বা, গালের ভেতরের অংশ ও তালুতে হয়ে থাকে।
বেশির ভাগ সময়ে ঘাগুলোতে ব্যথা হওয়ার কারণে কথা বলতে, খাওয়া দাওয়া করতে বা পানি পান করার সময় সমস্যা হয়।
কারণগুলো
- দাঁতের যেকোনো ধরনের ট্রিটমেন্ট করার সময় ওরাল টিস্যুতে আঘাতজনিত কারণে হতে পারে।
- অসাবধানতায় মুখের গালে বা জিহ্বায় কামড় লাগার কারণে হতে পারে।
- এলার্জির কারণে হতে পারে।
- অর্থোডোনটিক্স ব্রেসেস বা রিটেইনারের কারণে আঘাত লাগতে পারে।
- টুথপেস্টে এবরেসিভ উপাদান বেশি থাকলে সেখান থেকে মুখে ঘা হতে পারে।
- এসিডিক খাবার যেমন—কমলা, আপেল ও স্ট্রবেরি জাতীয় ফল বেশি খেলে হতে পারে।
- মানসিক চাপের কারণেও হতে পারে।
- অনেক সময় ঘুম কম হলেও হতে পারে।
উপসর্গ
- ঘার চারপাশে লাল দাগ দেখা যায়।
- ক্ষতস্থান হলুদ, সাদা বা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।
- ক্ষতের চারপাশে ফুলে যেতে পারে।
- দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্যথা হতে পারে।
- ঝাল, লবণাক্ত খাবার, টকজাতীয় খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে।
করণীয়
- প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে (৮ গ্লাস সর্বনিম্ন)।
- মুখ ও দাঁতের সঠিকভাবে যত্ন নিতে হবে।
- প্রতিদিন লবণ গরম পানি দিয়ে কিছু সময় ঘরে কুলকুচি করতে হবে।
- সমপরিমাণ পানির সঙ্গে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের সঙ্গে পানি মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।
- গরম, ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করতে হবে।
- এনেসথেটিক্স জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিকিৎসা
বেশির ভাগ মুখের ঘা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। ফিজিশিয়ান সাধারণত উপসর্গ নিরাময়ের জন্য ওষুধ দিয়ে থাকেন।
- এন্টিসেপটিক জেল বা মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা।
- স্টেরয়েড ওয়েনমেন্ট (ট্রায়াম সিনোলন)।
- ইমিউনো সাপ্রেসিভ ওষুধ সেবন করা (বেশি গুরুতর হলে)।