কোলেস্টেরল কমানোর জন্য কি খাওয়া উচিৎ নয় তার খাদ্য তালিক। ২৮ মে ২০২৫

কোলেস্টেরল কমানোর জন্য কি খাওয়া উচিৎ নয় তার খাদ্য তালিক।

দিনকেদিন কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে দেশের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন।

আজকাল অনিয়মিত জীবনযাপন, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে অল্প বয়সেও শরীরে এই ক্রনিক রোগ বাসা বাঁধছে। শীতের মরশুমে কোলেস্টেরল বাড়ে।

শীতকালে দেদার বাইরের খাবার খাওয়া হয়। জমিয়ে ভূরিভোজের মাঝেই কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে।

আর কোলেস্টেরল বাড়ার সাথে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সুস্থ থাকতে শীতকালে ভুলেও খাওয়া যাবে না এই ৫টি খাবার:

১) রেড মিট: রেড মিট খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে, এটি সকলেরই জানা। ছ’মাসে-ন’মাসে মটন খেলে তেমন ক্ষতি হয় না। তবে আপনি যদি প্রায়ই রেড মিট খান, তাহলে বিপদের মুখে পড়তে পারেন। খাসির মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

২) ডিপ ফ্রায়েড খাবার: শীতকালে মুখরোচক ভাজাভুজি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল থাকলে ছাঁকা তেলে ভাজা কোনও খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। এই ধরনের খাবারে ক্যালোরি অনেক বেশি থাকে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।

৩) মিষ্টিজাতীয় খাবার: শীতকাল মানেই মোয়া, পায়েসসহ নানা রকম মিষ্টিজাতীয় খাবার। এই খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। অপরিমিত পরিমাণে এগুলি খেলে ওজন বাড়ার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রাও বেড়ে যায়।

৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার: ইদানীং বিভিন্ন প্রকার প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি মানুষের ঝোঁক বেড়েছে। এই ধরনের খাবারে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট থাকে। কোলেস্টেরল বেশি থাকলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলা উচিত। যেমন: বার্গার, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রি, কেক, সস, হটডগ, পিজ্জা, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি।

৫) দুগ্ধজাত খাবার: ফুল ক্রিম দুধ, পনির, ক্রিম এবং আইসক্রিমে উচ্চমাত্রার ফ্যাট থাকে। ফলে কোলেস্টেরল বাড়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ না করলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *