উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণসমূহ:
১) হাত ও পা ঠান্ডা থাকা:
আপনার হাত এবং পা যদি ক্রমাগত ঠান্ডা থাকে, তবে এটি রক্ত সঞ্চালনে বিঘ্ন ঘটার একটি লক্ষণ হতে পারে, যা উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে হয়ে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।
২) অত্যধিক ক্লান্তি অনুভব করা:
শীতকালে যখন দিন ছোট হয়ে যায়, তখন অতিরিক্ত ক্লান্তি উচ্চ কোলেস্টেরলের একটি লক্ষণ হতে পারে। ধমনিতে কোলেস্টেরল জমাট বাঁধার কারণে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, যা শরীরের অক্সিজেন এবং পুষ্টি সরবরাহে ব্যর্থতা সৃষ্টি করে এবং ক্লান্তি বাড়ায়।
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া:
শীতের মাসে যদি শ্বাস নিতে অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দেয়—বিশেষ করে হালকা শ্বাস নেয়ার সময়ও কষ্ট হয়—তাহলে এটি ইঙ্গিত করতে পারে যে উচ্চ কোলেস্টেরল ফুসফুস এবং হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে।
৪) বুকে চাপ অনুভব করা:
বুকে ব্যথা প্রায়ই হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। শীতে এটি হালকা হলেও ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শরীরের উপর চাপ পড়তে পারে। উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ঠান্ডা বাতাস বুকে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
৫) উচ্চ কোলেস্টেরলের অন্যান্য লক্ষণ:
চোখের পাতার উপর নরম হলুদ ফোলাভাব বা কর্নিয়ার চারপাশে একটি পাতলা সাদা রেখা দেখা গেলে এটি উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ হতে পারে।
৬) হাত ও পায়ের রং বদল:
যদি কোলেস্টেরলের মাত্রা খুব বেড়ে যায়, তবে হাত ও পায়ের রং পরিবর্তিত হয়ে হলুদাভ হতে পারে। পায়ের পেশি, উরু, বা নিতম্বে টান অনুভূত হওয়াও এর একটি লক্ষণ।
৭) পায়ের তলা ঠান্ডা থাকা:
শীতে লেপ বা কম্বলের তলায় অনেকক্ষণ শোবার পরও যদি পায়ের তলা ঠান্ডা থাকে এবং তা গরম না হয়, তাহলে এটিও কোলেস্টেরল বেশি হওয়ার একটি ইঙ্গিত।
৮) হাত ও পায়ে ঝিঁঝি ধরা:
যদি হাত-পায়ে ঝিঁঝি ধরা বা অবশ হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়, তাহলে এটিও কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হওয়ার একটি লক্ষণ হতে পারে।