ইরানের সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা ইসরায়েলের তৃতীয় আরেকটি এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
একইসঙ্গে ইরানে হামলায় অংশ নেওয়া মোট দুজন ইসরায়েলি পাইলটকে আটক করার কথা জানিয়েছে তারা।
ইরানি জাতীয় টেলিভিশনের এক সংবাদদাতার বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিমানের পাইলট বিমান থেকে ইজেক্ট করার পর ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে আটক হন।
তাকে বর্তমানে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই নিয়ে চলমান সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইরান মোট তিনটি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দিল।
এর মধ্যে একটি বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, অন্যজনকেও ইরানি বাহিনী আটক করেছে।
ইরানি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই অভিযান ইরানের স্থানীয়ভাবে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে,
যা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ক্ষমতা রাখে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে যখন ইসরায়েলি বাহিনী তেহরানের আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ১০০ বেসামরিক নাগরিক, সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীকে হত্যা করে।
একই সঙ্গে তারা ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
জবাবে ইরান এখন পর্যন্ত পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঢেউ ছুঁড়েছে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায়।
এসব হামলায় ১৫০টির বেশি ইসরায়েলি ঘাঁটি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি তেহরানের।
বর্তমানে ইরান কামিকাজে ড্রোন দিয়ে আরও হামলা চালাচ্ছে এবং আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা শুধু কৌশলগত জয় নয়, বরং পশ্চিমা সামরিক প্রযুক্তির বিপরীতে ইরানের সামরিক সক্ষমতার একটি শক্ত বার্তা।
এ যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও তীব্র হলে মধ্যপ্রাচ্যে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।