আলু চাষে অধিক লাভবান হওয়ার কৌশলগুলো জেনে ইন। ৩১ মে ২০২৫

আলু চাষে অধিক লাভবান হওয়ার কৌশলগুলো জেনে ইন।

আলুতে লাভবান হতে চাষিদের অবশ্যই ভালো জাতের, সঠিক সময়ে ও সঠিক পরিচর্যায় আলুর চাষাবাদ করতে হবে।

কৃষি তথ্য সূত্র জানায়, আলুর জন্য জমি তৈরি ও বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর। হালকা প্রকৃতির অর্থাৎ বেলে দো-আঁশ মাটি আলু চাষের জন্য বেশ উপযোগী।

আলু চাষে লাভবান হতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভাবিত আগামজাত ও উচ্চফলনশীল জাতগুলো নির্বাচন করা প্রয়োজন।

প্রতি একর জমি আবাদ করতে ৬০০ কেজি বীজ আলুর দরকার হয়। এক একর জমিতে আলু আবাদ করতে ১৩০ কেজি ইউরিয়া, ৯০ কেজি টিএসপি, ১০০ কেজি এমওপি, ৬০ কেজি জিপসাম এবং ৬ কেজি দস্তা সার প্রয়োজন হয়।

তবে এ সারের পরিমাণ জমির অবস্থাভেদে কমবেশি হতে পারে। তাছাড়া একর প্রতি ৪-৫ টন জৈবসার ব্যবহার করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়।

আলু উৎপাদনে আগাছা পরিষ্কার, সেচ, সারের উপরি প্রয়োগ, মাটি আলগাকরণ বা কেলিতে মাটি তুলে দেওয়া, বালাই দমন, মালচিং করা আবশ্যকীয় কাজ।

রফতানিযোগ্য আলুর আবাদ-

আগাম রফতানির জন্য এমনভাবে আলু রোপণ করা দরকার যাতে করে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে আলু সংগ্রহ করা যায়।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত কয়েক ধাপে রোপণ করলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আলু তোলা যায়।

এরূপ রোপণের ফলে দীর্ঘ সময় কাঁচা আলু সংরক্ষণ না করেও তাজা অবস্থায় রফতানি করা যায়।

মিষ্টিআলু-
নদীর ধারে পলি মাটিযুক্ত জমি এবং বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির মাটিতে মিষ্টি আলু ভালো ফলন দেয়।

কমলা সুন্দরী, বারি মিষ্টিআলু-১২, বারি মিষ্টিআলু-১৪ বারি মিষ্টিআলু-১৫ ও বারি মিষ্টি আলু-১৬ আধুনিক মিষ্টি আলুর জাত।

প্রতি বিঘা জমির জন্য তিন গিঁটযুক্ত ২২৫০-২৫০০ খণ্ড লতা পর্যাপ্ত। বিঘা প্রতি ৪-৫ টন গোবর/জৈবসার, ১৬ কেজি ইউরিয়া, ৪০ কেজি টিএসপি, ৬০ কেজি এমওপি সার দিতে হবে।

অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *