কোরবানি ঈদ (ঈদুল আজহা) মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব।
এই উৎসবের প্রস্তুতি হিসেবে জিলহজ মাসের ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত কিছু নির্দিষ্ট আমল পালন করা সুন্নত।
নিচে ঈদের আগের সাত দিনের করণীয় :
১. নখ, চুল ও অবাঞ্চিত লোম কাটা: জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত, যারা কোরবানি করবেন, তাদের জন্য সুন্নত হলো নখ, চুল ও অবাঞ্চিত লোম কাটা। এটি ইবাদতের প্রস্তুতি হিসেবে পালন করা হয়।
২. কোরবানি পশু কেনার প্রস্তুতি: পশু সুস্থ ও নির্দিষ্ট বয়সের হতে হবে।
পশুর কোনো ত্রুটি (যেমন অন্ধ, অসুস্থ) না থাকা উচিত।
৩. কোরবানি করার নিয়ত ও উদ্দেশ্য : কোরবানি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করা উচিত। লোক দেখানো বা প্রদর্শনীর উদ্দেশ্যে কোরবানি করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
৪. ঈদের নামাজের প্রস্তুতি: ঈদের নামাজের আগে কোনো পশু জবাই করা যাবে না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করে, সে যেন অন্য একটি কোরবানি করে।
৫. পশুর সেবা ও যত্ন: কোরবানি পশুকে সঠিকভাবে যত্ন ও সেবা করা উচিত। অহেতুক কষ্ট দেওয়া বা নির্যাতন করা ইসলামে নিষিদ্ধ। পশুকে এমন স্থানে বাঁধা উচিত, যাতে পথচারীদের কষ্ট না হয়।
৬. কোরবানি ভাগে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি: যদি কোরবানি ভাগে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে পশু কেনার আগে ভাগিদার নির্বাচন করা উচিত। এটি মোস্তাহাব আমল হিসেবে পালন করা হয়। যার ব্যাপারে নিশ্চিত জানা আছে, তার উপার্জন হারাম, তাকে কোরবানির শরিক করা উচিত নয়।
৭. ঈদের দিন দান-খয়রাতের প্রস্তুতি: কোরবানি মাংস তিন ভাগে বণ্টন করতে হয়: এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের জন্য, এবং এক ভাগ দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের জন্য।
এটি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করা হয়।